নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশ প্রধানের চিন সফর- Bangladesh Election 25th march

জাতীর উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা ইউনূস বলেছেন, ‘‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক।Bangladesh Election

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দেশ সফর করেছিলেন, সেই চিনেই যাচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী বুধবার (২৬ মার্চ) শুরু হবে তাঁর চার দিনের চিন সফর।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর, কারণ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে চিনের মদত দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’’ তাঁর বক্তব্যে গত বছরের ক্ষমতার পালাবদলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব সফল ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম পর্বের সমাপ্তির মধ্যে দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হল। সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি!’’
গত ১৬ অগস্ট মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে ইউনূস বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন যা বিএনপির অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সব শর্ত পূরণ করলে ২০২৫-এর শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করা যেতে পারে।’’
ইউনূসের চীন সফরের প্রেক্ষাপট Bangladesh Election
ড. ইউনূসের চীন সফরটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
- চুক্তি ও সমঝোতা: সফরে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়ক হতে পারে.
- ভূ-রাজনীতি: এই সফরটি কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ক নয় বরং ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কেও গুরুত্ব দেবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকছে.
- অর্থনৈতিক সহযোগিতা: বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনের মতো শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগীর সহায়তা প্রয়োজন.
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এখন প্রশ্ন হলো, ইউনূসের এই সফর কতটা ফলপ্রসূ হবে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে সরকারের উচিত ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে থাকা আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলোকে বিবেচনায় রাখা।
মোটকথা, ড. ইউনূসের চীন সফর বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। source: click here